প্রকাশিত: ২৪/০৯/২০১৬ ৮:০৭ এএম

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ টেকনাফে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত উপবৃত্তির ১ কোটি ২৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ১২৫ টাকা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের ১২ মাসের মোটা দাগের টাকা বিতরণের সুযোগে ব্যাংক নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাড়াহুড়া, ভিড়, মা অভিভাবকদের সরলতার সুযোগে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিভাবকগণ জানিয়েছেন। তবে ব্যাংক কর্মকর্তা ও টেকনাফ উপজেলা শিক্ষা অফিসের দুইজন শিক্ষা অফিসার উপবৃত্তির টাকা বিতরণে অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেছেন।

জানা যায়, জুলাই ২০১৫ থেকে জুন ২০১৬ পর্যন্ত এক বছরের জন্য উপজেলার ৫৫টি প্রাথমিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসাসহ মোট ৫৭টি শিক্ষা প্রতিষ্টানের ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির জন্য বরাদ্দ ছিল ১ কোটি ২৪ লক্ষ ৮৭ হাজার ১২৫ টাকা। অভিযোগ উঠেছে বিতরণে নিয়োজিত ব্যাংকের লোকজন কার্ডে উল্লেখিত প্রদত্ত টাকার পুরো অংশ অভিভাবকদের না দিয়ে কিছু অংশ ভাংতি নেই বলে এবং বিভিন্ন অজুহাতে কৌশলে আত্মসাৎ করেছে। স্কুল কমিটির অনেকে তাড়াহুড়ো এবং ভিড়ের মধ্যে বিতরণের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন। হ্নীলা রঙ্গীখালী গ্রামের খদিজা বেগম নামের এক অভিভাবক বলেন, আমার বাচ্চার কার্ডে ১ হাজার ৫০ টাকার পরিবর্তে তাড়াহুড়ো করে আমাকে ৫৫০ টাকা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। প্রতিবাদ করলে বিতরণকারী লোকজন বকাঝকা করে চলে যেতে বললে পরে মাস্টার আনোয়ারকে ডেকে আনলে বাকী ৫’শ টাকা দিতে বাধ্য হন তারা। শবে মেরাজ নামে এক মহিলা অভিভাবক বলেন, আমাকে ১ হাজার টাকার পরিবর্তে ৫’শ টাকা দিয়েছে। লায়লা বেগম নামের অপর এক অভিভাবক বলেন ছেলে-মেয়ে দু’জনের প্রাপ্য ১ হাজার ৮’শ টাকার পরিবর্তে আমাকে ১ হাজার ৩’শ টাকা দেন। জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার জোবায়ের হোসাইন উপবৃত্তির টাকা বিতরণের সময় প্রত্যেক কেন্দ্রে ব্যাংক অফিসার ছাড়াও উপজেলা শিক্ষা অফিসার, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণ এবং স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত থাকেন। এতে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই বলে দাবী করেন।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...